বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বের কোথাও একলাফে জ্বালানির দাম এত বেশি বাড়ানোর নজির নেই। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকার ভর্তুকি দিয়ে দেশের রিজার্ভ খেয়ে ফেলেছে। দেশটাকে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির সমাবেশ ছিল ৭ নম্বর বিপদ সংকেত।
আর চট্টগ্রামের সমাবেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত। আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তারা ১৯৭৫ সালেও গণতন্ত্র হত্যা করে মনে করেছিল সারাজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকবে। কিন্তু পারেনি। জনরোষের মুখে সরকারের পতন হয়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে কাজীর দেউরি নসিমন ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মীর নাছির বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী গত ৭ বছরে দেশ থেকে ২৭০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার কোথায় গেলো? আজকে জাতি এটা জানতে চায়। এটা একটা বিরাট শুভংকরের ফাঁকি, বিরাট ডাকাতি, বিরাট লুটের একটা চিত্র।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুতের সংকট সবকিছুর মূলে এ সরকারের দুর্নীতি। লুটপাট ও চুরি করে সরকার দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন— কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমসম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মাহবুব আলম, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু ও প্রমুখ।